সংযোগসূত্র
আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত প্রতিকার চাইছি
পরাগ মিলন হলো না
🟣🟣🔵🔵🟢🟢
ভোঁ ও ও.......
নাইট শিফট শুরু হওয়ার শেষ সাইরেন বাজতে না বাজতেই পরাগ হাঁফাতে হাঁফাতে টাইম কিপার মধুসূদন হাওলাদারের খুপরি অফিসে উঁকি মারে।
“পরাগ, তুই আজও দেরি করলি।নতুন চাকরি তোর।ওই মাইয়াটার পাল্লায় পড়ে শেষ অবধি দেখছি সেটা তুই খোয়াবি।", গজগজ করতে করতে মধুসূদন হাজিরা খাতাটা পরাগের দিকে এগিয়ে দেয়। কোনও মতে নামটুকু সই করতে পারে সে।সেটা করেই একপ্রকার চোরের মতোই মাথা নিচু করে বয়লারের দিকে ছুট লাগাল।
মাথা নিচু করে ভাবতে ভাবতেই পরাগ এগোতে থাকে।হঠাৎই ফোঁস্ ফোঁস্ শব্দ শুনে থমকে দাঁড়িয়ে যায়।এখানে চন্দ্রবোড়ার খুব উৎপাত।সন্ধ্যের পরে সজাগ হয়ে চলাফেরা করতে হয়।একটু মনে মনে হাসে সে,"মালতির মায়ের বিষের ঝাঁজ থেকে এই চন্দ্রবোড়া বোধহয় অনেক নিরীহ।" কিছুতেই তাদের সম্পর্কটা মেনে নিতে পারছে না।
নানা চিন্তা মাথাতে ভিড় করে আসে।মালতির বাবা তাদের সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করে না।তার এসব নিয়ে ভাবার মতো ফুরসত মেলে না।সারাদিন খেটেখুটে সন্ধ্যায় বাজারতলায় ভজনের ঠেকে দু'চার পাত্তর চোলাই চাপিয়ে ঘরে ফিরে ঝিম্ মেরে পড়ে থাকে। কিন্ত মা?পরাগকে দেখলেই মেয়ের দিকে তেড়ে যায়। অথচ পরাগ কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে না তাকে অপছন্দের কী কারণ থাকতে পারে।তার নেশাভাঙের বালাই নেই। লোকে বলে, দোহারা গড়নে দেখতে শুনতেও মন্দ নয়।বাপের একমাত্র সন্তান।তিন কাঠা জমিতে বাপ ঘরও বানিয়ে রেখে গেছে।এসব মালতিকে বোঝাতে গেলে চুপ করে থাকে।শুধু দুঃখের আগুনে মনের বয়লারে পুড়তে পুড়তে স্টিমের মতো তার চোখের জল বেরিয়ে আসতে থাকে।আবার এরই মধ্যে ঘন মেঘের আড়ালে বিদ্যুতের ছটার মতো আগামী দিনের ঘর বাঁধার রঙিন স্বপ্নেরা তাকে হাতছানি দিতে থাকে।
ছকুয়া।বয়লারের রাক্ষসের খিদে মেটাতে নগা,ভোলা, মতিয়া, মাতিন ও আরও অনেকের সাথে সেও বেলচা করে কয়লা ভরে দেয়।বাংলা কারণ বারির মস্ত এক সমঝদার সে।সেদিন নাইট- শিফট শুরুতে টলতে টলতে তার জড়ানো গলায় বলতে শোনা গেল," ই পিলানট্ বন্দ হয়ে যাবে। আমি শুনছি অফিসবাবুদের কথা।তকন দেখব তুদের ফুটানি কুতায় যায়।" মাতিন আওয়াজ দেয়,"আরে ছকুয়া! কী সব আবোল তাবোল বকছিস?ডিউটি শুরুর আগেই চাপিয়ে বসে আছিস দেকছি।" বাকিরা হো হো করে হেসে ওঠে।
কনভেয়র বেল্টের ঝুড়িতে বেলচা দিয়ে ঠেলে কয়লা ভরে দেয় যাতে বয়লারে গিয়ে পুড়ে জল গরম হয়ে বাষ্প হয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে বিদ্যুতের বন্যা বয়ে আনতে পারে।জীবনে অধিকাংশই না পাওয়া সেইসব নিত্য অভাবী এই লোকগুলো যারা সংসারের বয়লারে কয়লা গুঁজতে গুঁজতে নানা অভাব অভিযোগে তেতেপুড়ে কালো হয়ে যায়।তাদের কষ্টে ভরা অন্ধকার জীবন আর নানা রঙের স্বপ্ন পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ তৈরি হয় তাতেই তো সব মানুষের ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে সুখের বিজলি বাতি।
সেদিন হাতে একটু বেশি সময়ই ছিল।গত পাঁচ দিনে ডে-শিফট আর মর্নিং- শিফটের পর আজ নাইট- শিফট।সে এখনও ঢের দেরি।মালতিকে নিয়ে গঙ্গার ঘাটের কাছে গিয়ে বসে।দেখতে দেখতে কখন যেন সন্ধ্যা নেমে গেছে,খেয়ালই করেনি।দুজনেই অনেকক্ষণ মাথা নিচু করে চুপচাপ রইল।একটু বাদে পরাগ মাথা তুলল,
" পরীক্ষা কবে?আমি তো কেলাস এইটেরও গণ্ডি পেরোতে পারিনি। তোমায় কিন্তু বারো কেলাস পাশ দিতেই হবে।" পরাগের কথায়
মালতির কোনও প্রতিক্রিয়া মিলল না ,কেবল গঙ্গাপাড়ের কয়েকটি ঘাস ছেঁড়া ছাড়া। সামনে কলকল করে গঙ্গা বয়ে যাচ্ছে। মালতি পরাগের কাছে ঘন হয়ে এসে তার চোখে চোখ রাখে,
"আরও একটু বোসো না, পরাগদা!ওই দেখো,আকাশে কেমন ভরা পূর্ণিমার চাঁদ।"
পরাগ দেখল,সত্যিই চরাচর জ্যোৎস্নাতে ভেসে যাচ্ছে। এমনি সময়ে মালতির সঙ্গ ছেড়ে যেতে তারও তো মন চাইছে না। মালতির মতোই উচ্ছল তার চুলগুলো, আজ যেন বাতাসে বড়ো বেশি অবাধ্য হয়ে পরাগের মুখে এসে বারে বারে আছড়ে পড়ছে।সেই চুলের গন্ধ তাকে যেন কেমন নেশাগ্রস্ত করে তোলে। মালতিকে সে যে বড্ড ভালবাসে!তাকে নিয়ে ঘর বাঁধার স্বপ্ন অহরহ বুনে চলেছে।আর মালতি?সে বলে ," পরাগদা,জন্ম-জন্মান্তর ধরে আমি তোমাকে চেয়ে আসছি।তোমারই জন্য, শুধুমাত্র তোমারই জন্য আমি হাসি মুখ নিয়ে ফাঁসিতে ঝুলতে পারি।" অদূরে আদ্যিকালের বহু পুরোনো পাকুড় গাছে একটা প্যাঁচা ডেকে ওঠে।অজানা আশঙ্কায় বুকটা ধক্ করে কেঁপে ওঠে পরাগের।শশব্যস্ত হয়ে মালতির মুখ চেপে ধরে। যখন পরাগ ঘন ঘন হাতে পরে থাকা বাবার রেখে যাওয়া পুরোনো ঘড়িটা দেখতে থাকে তখন মালতি বোঝে ডিউটিতে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে।আর আটকে রাখা যাবে না।পরাগের ডান হাতটা ধরে তার ওমটা নিজের দুই হাতের মধ্যে রেখে চোখে চোখ রেখে বলতে থাকে,
" পরাগদা,তুমি চেষ্টা করে দেখ না যদি অন্য কোনো খানে একটা চাকরি পাও!ওখানে তো ভুসো কয়লা পোড়ে ,সেই সঙ্গে পোড়ে তোমাদের মতো মানুষগুলোর দেহ নিংড়ানো শক্তি।আর তার জোরেই তো বাবুদের ঘরে পাখা চলে,আলো জ্বলে।তবে এটাও তো ঠিক,ডিউটিতে না গেলে যে সংসার একেবারেই চলবে না।"
টাইম গেট থেকে বেরিয়ে কিছুটা এগিয়ে গেলেই নবা ঘোষের চায়ের দোকান। না, ঠিক বলা হলো না। বরং শ্রমিকদের 'কফি হাউস '-ই বলা যায়।হাতে চায়ের গেলাস ধরে রাজনীতি,কোম্পানির হাঁড়ির খবর,নিজেদের মধ্যেকার পরচর্চা মায় বড়ো সাহেবদের পারিবারিক কেচ্ছা- কিছুই বাদ পড়ে না।নবা একমনে সবই শোনে আর দার্শনিক নিষ্পৃহতায় চা- চিনি-দুধের পারমুটেশন- কম্বিনেশনের ফরমাইসি চায়ের জোগান দিতে থাকে।
সেদিন সবাই চায়ের গেলাসে চুপচাপ চুমুক দিতে লাগল, বাজারখোলায় দিনশেষে পড়ে থাকা সবজির মতো নিস্তেজ হয়ে। বয়লার অপারেটর মাইকেল এক সময় শেষ চুমুক দিয়ে টেবিলে ঠক্ করে গেলাসটা রেখে মাথা নিচু করে মেঝের দিকে তাকিয়ে প্রথম নীরবতা ভঙ্গ করল, "শুনলাম, কোম্পানি বোধহয় বন্ধ হয়ে যাবে।"
মুহূর্তে দোকানে শ্মশানের নৈঃশব্দ্য।নবাও স্থানুর মতো দাঁড়িয়ে পড়ল।একটু বাদে নিঃস্তব্ধতা ভেদ করে কয়লা গুদামের হেড স্টোর কিপার বিভু তোপদারের তোপ স্বগতোক্তি হয়ে গর্জাতে থাকল," দূষণ হচ্চে, নাকি দূষণ হচ্ছে প্লান্ট থেকে।কয়লার গুঁড়ো আর বয়লারের কালো ধোঁয়ায় নাকি বাবুদের খুউব কষ্ট হচ্চে।তারা পিটিশন করেছে গরমেন্টের কাছে।আর তাই কোটও নাকি অডার করেছে বন্ধ করে দিতে।কই,আমাদের তো কিসছু হয় না।বাপও তো এখানেই কাজ করেছে।আরে! বন্ধ হলে কাজও তো চলে যাবে সব্বার। আমরা না খেতে পেয়েই মরব।বাবুদের আর কী হবে!"
দিনটা ছিল একত্রিশে আগস্ট।ভরা ভাদ্রের এক শনিবার।নাইট শিফটের পর বয়লারের চিমনি শেষ কালো ধোঁয়া উগড়ে দিয়ে স্তব্ধ হয়ে গেল।চিরকালের মতো কালো ধোঁয়া বেরুনো বন্ধ। কর্মীরা আগেই জেনে গিয়েছিল।কারণ কোম্পানি গত মাসেই মূল গেটে এবং সব সেকসনে নোটিশ লটকে দিয়েছে।ডিউটি শেষে পরাগ এই ভোর রাতে গঙ্গার ঘাটে সেই জায়গাটায় গিয়ে বসল, যেখানে মাঝে মাঝেই সন্ধ্যায় মালতির সাথে বসত। চোখ লাল,মাথার চুল উস্কোখুস্কো। এক দৃষ্টিতে বয়ে যাওয়া নদীর স্রোতের দিকে তাকিয়ে রইল।ছকুয়া,মাতিন, নগা,ভোলা, মোতিয়া -একে একে বেরিয়ে এল শ্মশানে শবদাহ করে ফিরে আসার মতো।পঞ্চানন মিত্তির জীবনে কখনও নেশার বস্তুর দিকে হাত বাড়ায়নি। আজ চোলাই টেনে বেহুঁশ।ছকুয়া নবা ঘোষের চায়ের দোকানে বেঞ্চেতে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ল।আস্তে আস্তে চারদিক ফরসা হয়ে এল।শুধুমাত্র ভোর হলো না মূলাহাটের প্ল্যান্টে।
দেখতে দেখতেই এক বছরেরও বেশি হয়ে গেল কারখানা ক্লোজারের। আজ বিশ্বকর্মা পুজো।ক্যালেন্ডারে সেপ্টেম্বরের সতেরো।কত ধুমধাম করে পুজো হতো ।আলোর রোশনাইয়ে গোটা প্ল্যান্ট সেজে উঠত।মালতির এইদিনের সাজ পরাগের চোখে নেশা ধরিয়ে দিত।না, দুর্গাপুজো নয়। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আরাধনাতেই মেতে উঠত শ্রমিক-কর্মচারী আর তাদের পরিবার- পরিজন।সন্ধ্যায় ঢাকের বাদ্যির তালে তালে ধূনুচি নাচ অদূরে গঙ্গার দু'কূল ভাসানো বানের জলের মতো যে খুশির জোয়ার এনে দিত,তা এক লহমায় এদের অভাবী, স্যাঁতসেতে আর একঘেয়ে জীবনের অস্তিত্বকে ওই ধূপধূনোর ধোঁওয়ার মতো উড়িয়ে নিয়ে যেত।আজ নিকষ কালো অন্ধকারে ঢেকে আছে সমগ্র প্ল্যান্ট এরিয়া।প্রেতাত্মার মতো দাঁড়িয়ে আছে বয়লারটা।
চার-পাঁচ বছরে কারখানার পেছনে নীরবে বয়ে যাওয়া গঙ্গায় অনেক জল গড়িয়ে গেছে।আর সেই সাথে শ্রমিকদের শারীরিক, আর্থিক আর সাংসারিক দুরবস্থার সঙ্গে ব্যস্তানুপাতে কারখানা ঢেকে ফেলে গাছপালা-ঝোপজঙ্গল বেড়ে উঠেছে। একশো বিশ-ত্রিশ বিঘার রাজত্বে নানা পোকা- মাকড় , খরিস-চন্দ্রবোড়া- তক্ষক- শেয়ালদের স্বর্গরাজ্য।
নবা ঘোষের চায়ের দোকান আজও খোলা।ওই টিমটিম করে চলে। সে রমরমা নেই।থাকবেই বা কী করে। খরিদ্দাররা তো অসহায় অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।আগে ঘুঘনি,পাউরুটি,ডিমের টোস্ট-ওমলেট-সেদ্ধ ,আলুর দম,কখন কখনও মাংস-হাত রুটিও- সবই পাওয়া যেত।এখন শুধুমাত্র চা সাথে বড়জোর সস্তা বেকারির বিস্কুট। সেলফ সবই প্রায় ফাঁকা। বসার বেঞ্চ আর টেবিলগুলো নিয়মিত ঝকঝকে করে মোছা হতো।এখন আর কোনও টেবিল নেই।রেখে কী আর হবে!কয়েকখানা বেঞ্চ অবশিষ্ট, তবে তাদেরও হাল ওই কাজ হারানো শ্রমিকদের মতো।
সন্ধ্যার দিকে পঞ্চানন মিত্তির এল। একটা চোখে কম দেখে বলে কানা পঞ্চু নামেই তার সমধিক পরিচিতি।স্টোরে ঘাড় গুঁজে একমনে কয়লার আনাগোনার হিসেব কষত।
"নবা,এট্টু চা দে।", বলেই কোণের বেঞ্চটাতে বসল।
চা হাতে পেয়ে গেলাসে একটা চুমুক দিল,
"বুঝলি নবা,পরাগ ছোঁড়াটার জন্য বড্ড কষ্ট হয় রে! বড়ো ভাল ছেলে ছিল।নেশাভাঙ করত না। একটা মেয়ের সাথে ভাবও ছিল।ওপাড়ার নিপেন কোবরেজের মুখে শুনলাম সপ্তাখানেক আগে নাকি মেয়েটা আত্মহত্যা করেছে।"
" সে কী গো,পঞ্চুদা!অবশ্য ক'দিন আগেই আমার কানে এসেছে।সবাই বলাবলি করছিল, 'আরে শুনলাম, মণ্ডলপাড়াতে একটা সোমত্ত মেয়ে না কি গলায় দড়ি দিয়েছে। কী আর হবে! মূলাহাটের কারখানা- টারখানা বন্ধ হওয়ারই ফল হবে এটা।' আমি কিন্তু শুনেও তেমন একটা গা করিনি।
তাহলে......", চায়ের জন্য উনুনে দুধ বসানো ছিল।নবা যেতে যেতেই অর্ধেকের বেশি উথলে পড়ে গেল। অন্য দিন হলে হয়তো অন্য রকম হতো।আজ যেন নবার কোনও হুঁশই নেই।মোড়ের মাথায় নেড়ি কুকুরটা তখন থেকে কেঁদেই যাচ্ছে।
দিন যায়,মাস যায়,বছর যায়- মূলাহাটের বাইরের পৃথিবীতে আহ্নিক গতি - বার্ষিক গতিতে কোনও ছন্দ পতন দেখা দিল না।চিরঅভাবী মানুষগুলোর নিস্তরঙ্গ জীবনে ধীরে ধীরে সবই যেন কীভাবে স্বাভাবিক নিয়মেই চলতে লাগল।
বারো শিব মন্দিরে বৃদ্ধ ঝাঁকড়া বটগাছের নিচে কখনও কখনও এক অশক্ত পাগলকে আজও বসে থাকতে দেখা যায়।বয়সের ভারে ন্যুব্জ।সাদা চুল-দাড়ির জঙ্গলে মুখ দেখা ভার। গায়ে ছেঁড়া জামা।পরনে কারোর বাতিল ট্রাউজার।পিচুটিভরা কোটরাগত দু'চোখ সর্বদা কাকে যেন খুঁজে বেড়ায়।মাঝে মাঝে বিড়বিড় করে বলে ওঠে,"সব শেষ হয়ে গেল,সব শেষ হয়ে গেল...."।
©️-- প্রবীর চট্টোপাধ্যায়
*পূর্বকথন: ব্যারাকপুরের মূলাজোড়ে pollution hazards-এর জন্য Supreme Court-এর অর্ডারে CESC-এর power plant বন্ধ হয়ে যায় অনেক বছর আগে।বেশ কয়েকবার যেতে হয়েছে, physical enquiry-এর জন্য, আইনি জটিলতা থেকে রেহাই পেতে। সেই সময়ের চালু প্ল্যান্টের পুরোনো স্মৃতি অনুমান করেই বানানো।ওখানে কয়েক বার সার্ভে করাতে হয়েছে।তখন একদিন সন্ধ্যার সময় প্ল্যান্টের সামান্য কিছু ভগ্নস্তুপ আর ম্যানেজারের বাংলোকে পোড়োবাড়ির মতো পড়ে আছে দেখে লেখার ইচ্ছা হয়েছিল।আমি পরাগ আর মালতিকে ওই দিনই দেখতে পেয়েছিলাম।তাই একটু চেষ্টা করে দেখলাম আর কি!আসলে কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হলে অনেক স্বপ্নেরই যে অপমৃত্যু ঘটে...*